A cup of coffee from Naggar castle |
এবছরের জানুয়ারি মাসে কয়েকদিন নাগ্গারে (হিমাচল প্রদেশের) ছিলাম। আমার শুধু রাতে কয়েক ঘন্টা থাকার জন্য একটা ঘর চাই, ব্যাস । ঠিকঠাক জায়গা জুটিয়ে কাজকম্মোও হয়ে যায় । ছিলাম 'পাইন প্যালেস' নামে এক পরিত্যাক্ত হোটেলে । পরিত্যাক্ত কথাটা ঠিক উপযুক্ত নয় এই ক্ষেত্রে, পুরোটা বলছি। আমার এক বন্ধু লিজে এই হোটেলটা নিয়েছিল, এখন আর নেই | এখন যার সম্পত্তি তিনি তেমন ভাবে পাইন প্যালেস কে ব্যবসার জন্য ব্যবহার করেন না । আচার্য্য (আমার পদবিও তাই ) মশাই, সেখানকার নামী এবং দামী পুরোহিত, পয়সার দরকার নেই বললেই চলে , তাই খুব চেনা জানা কেউ গেলে এই হোটেলে থাকতে দেন । তার ছোট ছেলে রাতে পাহারাদার হিসেবে এখানে থাকেন । লোকেশন হিসেবে, নাগ্গার প্যালেসের ঠিক নিচের 'হেয়ার-পিন ' লুপ টায় হোটেল পাইন প্যালেস, হেঁটেই যাতায়াত করা যায় ।
একটা ছবি বলার চেষ্টা করি, পাহাড়ে প্রথম ধাপে হোটেল পাইন প্যালেস, ওপরের দুটো ধাপ পরে নাগ্গার প্যালেস ( বর্তমানে হিমাচল স্টেট গভমেন্টের হোটেল, বলিউডের প্রচুর সিনেমার শুটিং হয়েছে এখানে ), তার ঠিক ওপরের ধাপে রয়েছে বহু পুরানো এক মন্দির নাম , 'ত্রিপুরা সুন্দরী মন্দির ', তার ওপরে রয়েছে নাগ্গার হাসপাতাল, সবচেয়ে ওপরের ধাপে বা পাহাড়ের চূড়ায় রয়েছে নিকোলাস রোয়েরিচ-র বসবসকারী বাড়িটি, যা এখন 'আর্ট গ্যালারি', ও তার সংলগ্ন ইনস্টিটিউট গুলো । নিকোলাস রোয়েরিচ-র নাম আসা করছি জানেন, যিনি জাস্ট হিমালয়ের প্রেমে পরে নিজের দেশ ছেড়ে সপরিবারে এদেশে পাড়ি দিয়েছিলেন। তার ছোট ছেলেকে দেবিকা রানী (জনপ্রিয় অভিনেত্রী ছিলেন, অনেক হিন্দি সিনেমা করেছেন ) বিয়ে করেছিলেন । আচ্ছা, দেবিকা রানীর আর একটা বড়ো পরিচয়, তার ঠাকুমা সুকুমারী দেবী ছিলেন কবিগুরুর ভগ্নি ।
পাহাড়ের এই আঁকাবাঁকা মেন রাস্তাটার নাম 'পুলাগ রোড', এই রাস্তার বাঁদিকে অনেক ছোটো ছোটো পায়ে হাঁটা পাহাড়ি পথ যেগুলো আপেলের খেতে আর আশেপাশের পাড়া গুলোতে চলে গেছে, জল জমে বরফে পিছল হয়ে থাকে রাস্তা, উঠতে নামতে বহুবার আছাড় খেয়েছি । ওখানেই পুষ্প-দিপু-বিন্দু দের বাড়ি, ওদের মা অমলা দেবী পঞ্চায়েত প্রধান । বড়ো ভালো মানুষ, আড্ডা মারার জন্য আর সকাল-দুপুর- রাতের খাবারের জন্য ওদের বাড়িতে যেতেই হতো, নাহলে তিন ভাই বোনের যে কেউ খুঁজতে বেরিয়ে পড়তো । পুষ্প পাশের স্কুলে গানের টিচার , দিপু কুলুর এক স্কুলে পড়ায় আর ফাটাফাটি তবলা বজায় , পুরো কুলু উপত্যকায় একমাত্র দিপু তবলা বাজায়, প্রচুর পারফর্ম করে । বিন্দু মানালিতে থাকে ছুটিতে বাড়ি আসে ।
রোজ পাইন প্যালেস থেকে পুষ্পদের বাড়ি যাওয়া আসা করতে করতে আমি বেশ কিছু শর্টকাট রাস্তা খুঁজে পেয়েছিলাম, রাস্তা গুলো চড়াই বেশি তবে তারাতারি হতো । রোজই ওদের বাড়ি পৌঁছে বলতাম , আজ এদিক দিয়ে এলাম বা ওদিক দিয়ে এলাম । ওরা তো সবই চেনে !
নিকোলাস রোয়েরিচ-র প্রাধান্যে নাগ্গার জায়গাটায় প্রচুর রাশিয়ান ও জার্মানদের দেখা যায়, অনেকেই এখানে সপরিবারে বসবাস করে । কিছু গলি আছে যেখানে গেলে মনে হবে এ কোথায় এলাম বাবা ! সবাই অন্য রকম দেখতে যে।
আমার কল সেরে, সেদিনের মতো কাজ গুটিয়ে ল্যাপটপ বন্ধ করে বেরোবো দেখি ঝিরঝিরে বৃষ্টি ঝরছে , হালকা তবে আর কিছুক্ষন হলেই ঝুরঝুর করে বরফ পরবে নিঃসন্দেহে । কিছুক্ষন অপেক্ষা করে যখন বুঝলাম বৃষ্টি আজ টা-টা করবে না , অগত্যা বৃষ্টি তেই বের হলাম । হোটেল থেকেই একখানা ছাতা জোগাড় করে নিয়ে হাঁটছি, আহা কি যে ভালো লাগছিলো , তবে বেজায় ঠান্ডা , গ্লাভস নিই নি , ফলে একটা হাত প্রায় অবস হবার জোগাড়, হাত ঘুরিয়ে একবার পকেটে চালান আর একবার ছাতার ডান্ডা ধরছি, ভেবেছিলাম ভিডিও করবো কিন্তু, সে অবস্থা নেই, যদি বৃষ্টি জোরে শুরু হয় এই ভেবে জোরে হাঁটা দিয়েছি । ওই যে বলেছিলাম, শর্টকাট রাস্তা গুলোর কথা, সেগুলোর মধ্যে একটা রাস্তায় আমার ঢোকা বারণ ছিল | পুষ্পরা সবাই মানা করেছিল, কিন্তু ওই রাস্তা নিলে আরো জল্দি ওদের বাড়ি যাওয়া যায় । ঠান্ডা জমে যাচ্ছি, আমার ধান্দা কতক্ষনে তান্দুরের ( লোহার তৈরি এক ধরণের ঘর গরম করার উনোন ) পাশে গিয়ে বসবো । মাথায় একটাই জিনিস ঘুরে ঘুর করছে শুধু, শর্টেস্ট-শর্টকাট ... শর্টেস্ট-শর্টকাট ...
"ভার মে যায় " ভূত-পেত্নি, ফটাফট যে রাস্তা ওরা নিতে বারণ করেছিল সেটাই নিলাম । ১০-১২ পা হেঁটেই পুষ্পদের বাড়ির আলো চোখে পড়লো, তন্দুর আরো কাছে চলে এলো আর মাত্র কয়েক পা, হাঁটার জায়গা দৌড়োতে শুরু করেছি, তবে বেশি জোরে দৌড়োনোর পাকামো করছি না, অনেক বার আছাড় খেয়ে অনেক জায়গায় বেশ ব্যাথা... এমন সময় " কাঁহা যা রাহে হো ?"
শুনে পাত্তা না দিয়ে একটু স্লো হলাম, থামবো ? ভাবছি !
আবার শুনলাম " কাঁহা যা রাহে হো ?", আমাকেই বলছেন কয়েক হাত দূর থেকে এক বয়স্ক মহিলার গলা |
ঘরের বারান্দায় হালকা আলো, ভালো করে দেখার জন্য এগোলাম । দেখি একজন বারান্দায় চেয়ারে বসে আছেন, পাশে চা বা কফির কাপ-প্লেট, ফ্লাস্ক ।
এবারে পরিস্কার শুনলাম, "ঘর কাঁহা হ্যায় ?"
অলরেডি দুটো প্রশ্ন হয়ে গেছে, দুটোরই উত্তর দিলাম ।
এবারে আমি জিগেস করলাম " ঠান্ড নহি লাগ্ রাহে হ্যায়? "
"নহি লাগতা হ্যাঁ মুঝে ঠান্ড" ।
পরক্ষনেই চায়ের অফার করলেন।
আমি না করলাম । মুচকি হেসে তার দিকে ভালো করে তাকালাম, কানে নীল পাথরের দুল, পরনে একটা গাউন তার ওপর শুধু একখানা কুলুর বিখ্যাত চাদর জড়ানো । গ্লাভস নেই, পায়ে মোজা আছে আছে কিনা দেখা যাচ্ছে না |
এমন অসীম ক্ষমতা দেখে আমি আবার জিগেস করলাম " আপকো কিউ ঠান্ড নহি লাগ্ রাহে হ্যায়? জায়িয়ে কুছ সোয়েটার ইয়া জ্যাকেট পহেন লিজিয়ে"
আবার সেই এক উত্তর "মুঝে ঠান্ড নহি লাগতি" ।
মুখ দিয়ে "ভার মে যায়ে " ... বেড়িয়ে যাচ্ছিলো, তাও বললাম "ম্যায় চলতি হু, মুঝে বহুত ঠান্ড লাগ্ রাহা হ্যায়" এই বলে পা চালালাম, পেছন থেকে শুনলাম "যাও, সব চলে যাও..." । ঠান্ডায় বুড়ির মাথা গেছে ভাবতে ভাবতে আমি গন্তব্যে পৌঁছে গেছি ।
কাকিমা যথারীতি জিগেস করলেন, " কৌন সা শর্টকাট লিয়ে, আজ ?" ।
মিথ্যে না বলে সত্যি কথাই বললাম, তাড়াতাড়ি হবে বলে আপনি যে রাস্তা বারণ করেছিলেন সেই রাস্তা দিয়েই এলাম, কিন্তু এক বুড়ির সাথে দেখা হলো ২-৪ মিনিট বকবক করলাম তার সাথে ।
দেখি ওরা সবাই মানে, কাকিমা, পুষ্প, দিপু তিন জনই আমার দিকে হ্যাঁ করে তাকিয়ে আছে ।
" কিয়্যা হুয়া ?"
প্রথমেই বকা খেলাম, মানা করা সত্ত্বেও ওই রাস্তা দিয়ে এসেছি বলে । আর পরের বকা আরো জোরালো কেন ওই বুড়ির সাথে গপ্পো জুড়েছিলাম ?
বলছি, আমি বেশি কথা বলিনি, কে শোনে কার কথা !
" আচ্ছা ! কৌন বল রাহা হ্যায়, কে ম্যায় যাদা বাত নহি করতি হু ?"
... 'সরি, খুব সরি ', কিছুক্ষন পর সব ঠিক হলো ।
খাওয়া হয়ে যাবার পর জিগেস করলাম কাকিমাকে "কে সেই বুড়ি ?"
পাশে কাকু ছিলেন, কাকিমা কাকুকেই বলেলন বলতে, কাকিমার বাপের বাড়ি কুলুতে, প্রায় ৩০ কিমি দূর। বিয়ের পর এখানে এসে তিনিও এ ঘটনা শুনেছেন মাত্র ।
যা শুনলাম কাকুর থেকে, সেটা হলো, অনেক বছর আগে কাকুর বয়স তখন বছর পাঁচেক, কাকুর দিদির এক বন্ধুর নাম ছিল স্বপ্না, আর পাঁচটা পাহাড়ি মেয়ের মতো নাম লেখা শিখেছে, বাড়ির কাজ কর্ম জানে, পাত্র খোজ হচ্ছে বিয়ের জন্য । কিন্তু সে নাকি বিয়েতে রাজি নয়, বাড়িতে নিত্য দিন ঝামেলা । এই করতে করতে কাকুর দিদির বিয়ে হয়ে গেলো, প্রায় তিন-চার বছর কেটেও গেছে, স্বপ্না কিন্তু তখনো বিয়ে করে নি ।
বসন্ত কালে পুরো হিমাচল এমন সেজে ওঠে যে চারদিকে তাকালেই "মনে পুলক জেগে ওঠে ", সত্যি বলছি রং-বেরঙের বাহারি ফুল, পাতা, ভ্রমর-মৌমাছি, পাখি যাকে বলে... স্বর্গ, এজন্যই তো হিমাচলের আরেক নাম "দেবভূমী " । সেরকম এক মোহময় বসন্তের দিনে স্বপ্না একজন রাশিয়ানকে বিয়ে করে সংসার পাতলো । ওখানেই এক চিলতে জমি কিনে তারা দুজনে পাইন কাঠ দিয়ে ছোটো দুকামরার এক দোতালা ঘর বাঁধলো । বাড়ির লোকজন প্রথমে অমত দিয়েছিলো , পরে যখন দেখলো তারা কাছাকাছি রয়েছে তখন সানন্দে উৎসব সমাহারে রাশিয়ান জামাইকে বরণ করে নিলো । প্রচুর লোকজন আমন্ত্রিত ছিল ।
দেখতে দেখতে তাদের এক কন্যা সন্তান হলো, সে নাকি পরীর মতন, তাই তার নামও ছিল পরী । তা তো হবেই ! বাবা রাশিয়ান আর মা হিমাচলের । বেশ কিছু বছর পর, বাচ্চা মেয়েটা হাঁটতে শিখে গেছে, তখন তার বাবা রাশিয়া গেলো বাড়িতে জরুরী কাজ আছে বলে কিন্তু এক বছর হতে চললো ফিরছে না। আগেও দু-চার বার গেছে কিন্তু মাস খানেকের মধ্যে ফিরে এসেছে, এবারের মতো দেরি নাকি কখনই হয় নি ।
স্বপ্না ভেবে অস্থির ! যে ফোন নম্বর দিয়ে গেছে, পাবলিক বুথ থেকে কল করে সেখানে কোনো উত্তরও পায় না, রুশ ভাষা স্বপ্না জানে না ফলে ওদিক থেকে কোনো উত্তর পাবার আশা নেই । চিঠিও নাকি পাঠিয়েছে । চেনা জানা অনেক রাশিয়ান দেশে ফিরে যাবার সময় স্বপ্নাকে কথা দিয়েছে গিয়ে খোঁজ নিয়ে জানাবে তার বরের খবর, কিন্তু কোনো রকম যোগাযোগ করতে আর পারে নি । তারপর নাকি আরো বছর খানেক পর, প্রায় চার বছর পর, সে ফিরে এলো এবং বললো সে তার দেশে আবার বিয়ে করেছে, স্বপ্না ও পরীকে নিয়ে যেতে পারবে না বলেই । ভেবেছিলো তাড়াতাড়ি ফিরে আসতে পারবে কিন্তু সে আর হয় নি, আর স্বপ্না দুঃখ পাবে বলে কোনো মারফৎ জানায় নি তার বিয়ের ব্যাপারটা ।
কয়েক মাস পর স্বপ্নার রাশিয়ান বর আবার দেশে গেলো কিন্তু এখন পর্যন্ত আর ফিরলো না । এদিকে পরী বড়ো হয়ে ডানাকাটা পরী হয়েছে যে ! চোখ ফেরানো দায় | ওই পাড়ারই এক জার্মানকে বিয়ে করে সেই যে নাগ্গার ছেড়ে গেলো সেও নাকি আর মায়ের খোঁজ নেয় নি কোনোদিন । বর আর মেয়ের জন্য প্রতীক্ষায় স্বপ্না ওই বারান্দায় বসে থাকতো । চা-কফির বড়ো সাধ ছিল , বিয়ের পর-পরই কত্তা-গিন্নি ওই বারান্দায় ডিম্ লাইট জ্বেলে আরাম কেদায়ার বসে পাহাড় দেখতো , পাখির গান শুনতো, রাত জেগে জোনাকি গুনতো , বরফ পড়লে দুজনে দরজার কাঁচে আঁকিবুকি কাটতো , আর রাস্তা দিয়ে যাকেই যেতে দেখতো, তাকে ডেকে কথা বলতো, কখনও চা-কফির অফার করতো ।
মেয়ে চলে যাবার পর বহু কাল স্বপ্না ওই বারান্দায় বসে ছিল, এমনকি কোনো কোনো দিন রাতও সে বারান্দায় কাটাতো, যদি তার বর বা মেয়ে এসে দেখে সে ঘুমোচ্ছে আর তাকে না ডেকে আবার চলে যায়, তাই !
সবার মুখ দেখার জন্য ডেকে কথা বলতো, চা-কফি খেতে বলতো, যদি কেউ তাদের কোনো খবর দিতে পারে তাকে, এই ভেবে !
তারপর একদিন, পাড়ার কেউ খেয়াল করলো স্বপ্নার বাড়ির দরজায় তালা ঝুলছে | কোথায় গেছে কেউ জানে না । কখন গেলো তাও কেউ জানে না । বাপের বাড়িতে তেমন কেউ নেই যে স্বপ্নার খবর রাখবে ! হয়তো কোথাও গেছে, ফিরে আসবে ! এই ভেবে আসে পাশের সবাই যে যার কাজে আবার ব্যস্ত হয়ে গেলো ।
হটাৎ, একদিন এক ট্র্যাভেলার সন্ধ্যের দিকে এক বাড়ির সামনে দিয়ে যাবার সময় কেউ তাকে ডাকলো, সে থেমে কিছুক্ষন কথা বলার পর, তাকে চা খেতে দিয়েছিলো, কিন্তু কাপে কোনো চা বা জল জাতীয় কিছু ছিল না | সেই ট্র্যাভেলার কিছু একটা বুঝে কাপ-প্লেট সেখানেই রেখে চলে যায় । তিনি যে গেস্ট হাউসে ছিলেন সেখানে গিয়ে ঘটনাটা বলায় " তারা বললো, স্বপ্না কি ফিরে এলো তাহলে ?" সবাই মিলে সেই রাতেই স্বপ্নার বাড়িতে এলো । বাড়িতে ঢোকার দরজায় তো যথারীতি তালা দেওয়া, মানুষের থাকার কোনো চিহ্নও নেই, চারপাশে নোংড়া হয়ে আছে, তাহলে ? আর এই ট্র্যাভেলার যে, সে তো এখানে নতুন দিন দুয়েক হলো এসেছে, তার তো ঘটনাটা জানার কথা নয় যে বানিয়ে বলবে, কে তাহলে চা অফার করলো তাকে ?
বেশ গরুত্বপূর্ণ ব্যাপার , অনেকদিন পর সবার স্বপ্নাকে মনে পড়লো , যারা তাকে চিনতো তাদের অনেকেই চলে গেছেন বা তাদের অনেক বয়স হয়ে গেছে । ছোটরা আবার নতুন করে জানলো স্বপ্নাকে ।
তবে এরপর থেকে অনেকেই মাঝে মাঝে ওই রাস্তায় দিয়ে গেলেই স্বপ্নাকে দেখেছে এবং চা খাবার জন্য অফারটাও পেয়েছে । আজও স্বপ্না বারান্দায় ডিম্ লাইট জ্বেলে বসে রয়েছে 'প্রতীক্ষায়... ' তাই তার ঠান্ডাও লাগে না |
পরদিন সকালে আমি গিয়েছিলাম স্বপ্না নামক ওই মহিলার বাড়িতে, দরজায় তালা , চারপাশে আবর্জনা, তবে বারান্দায় চেয়ার পাতা রয়েছে । তবে গত রাতে যে বারান্দায় কেউ বসেছিল তার কোনোরকম প্রমান নেই ।
নোট : চারদিকে আপেলের খেত মাঝে দামি আন্টিকে জিনিসপত্রে সাজানো গোছানো সুন্দর-সুন্দর কাঠের অনেক দোতলা বাড়ি রয়েছে নাগ্গারে। এমন বহু পরিবার রয়েছে তাদের spouse (বর বা বৌ) ভিনদেশি । কেউ কেউ নিয়ম করে বছরে এক বার-দুবার আসে কেউ আর আসেই নি । এই বাড়ি গুলো সব গেস্ট হাউস ।
Comments
Post a Comment