Skip to main content

Temples of Thirukkadaiyur

আর এক বার বিয়ে করতে চান ? তবে আগে যার সাথে বিয়ে হয়েছিল বা করেছিলেন তাকেই কিন্তু বিয়ে করতে হবে। যার আগে ষাট বছর হবে তখন। ষাটের পর যদি সত্তর, আসি বছর অব্দি বেঁচে থাকেন তখনও সেই একই বৌ বা বরকেই বিয়ে করতে হবে। তবে ষাট বছর বয়সের বুড়ো-বুড়ির বিয়ের ব্যবস্থা তাদের ছেলে-মেয়ে, নাতি-নাত্নিরাই করে। এই দ্বিতীয়-তৃতীয় বার বিয়েতে একটা বড়ো পাওনা হলো, বিয়ের ছবি ও ভিডিও। স্বাভাবিক ভাবেই প্রথম বারের বিয়েতে এই সুযোগ কারোর ছিল না।  যদি ছানাপোনা না থাকে তাহলে নিজেদেরই বুড়ো কালে আবার বিয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। 

আমার ঘটনাটা শোনা আর দেখা একসাথে, এক জায়গাতেই হয়। শুরু থেকে শুরু করি।

পন্ডিচেরী থেকে বেরোনোর সময় ঠিক করলাম প্রথমে তাঞ্জোরে, পরে মাদুরাই হয়ে রামেশ্বরম যাবো। রাস্তা চওড়া করার জন্য NH32-র বাজে অবস্থা, লাল মাটির ধুলো খেতে-খেতে আর ভাল্লাগছিলো না। তাই মাদুরাই হয়ে রামেশ্বরম যাবো। তবে থারংবাড়ি ( এককালে ডেনমার্ক-র রাজত্ব ছিলো ), পুম্পাহার (তামিলনাড়ু ), কারাইকাল ( পন্ডিচেরী ) যাবার ইচ্ছে আছে, সে দরকার হলে রামেশ্বরম থেকে ইউ-টার্ন নেবো না হয়। রাস্তা বেশি হলে আমার কোনো চাপ নেই।

কিন্তু, তিরুক্কাদাইয়ুরে শক্তি ম্যামের বাড়িতে নেমতন্ন পেলাম, কিছু দিন থাকার জন্য। শক্তি ম্যাম, মুরলি স্যার-র কলেজের বন্ধু, যেতে তো হবেই। তাই, সোজা রাস্তা পন্ডি থেকে চিদাম্বরম হয়ে তিরুক্কাদাইয়ুরে । কাজ চলার জন্য ওই  ধুলো মাখা রাস্তাই ধরলাম | 

NH32 ধরে তিরুক্কাদাইয়ুরের কাছাকাছি পৌঁছে বুঝতে পারলাম, এখানে কোনো উৎসব চলছে, চারিদিকে সাজো-সাজো ব্যাপার। খুব বেশি রাস্তা না তাই আর ক্লান্তি নেই, আর এমন একখানা সাজানো শহরতলি দেখে জানার অনেক কিছু পেয়ে গেলাম। শক্তি ম্যাম নেমতন্ন করেছেন বটে কিন্তু প্রথম দিনই তাঁর বাড়িতে গিয়ে ওঠা... একটু কেমন লাগে। ঠিক করলাম, আজকের থাকার ব্যবস্থা করে দুপুরে ম্যামের সাথে দেখা করতে যাবো। TTDC-র গেস্ট হাউসের ভাড়া বড্ডো বেশি, পাশে হাফ দামে একই রকম থাকার ব্যবস্থা মোকামবিগাই-এ। তবে ফিল্টার কফি, লেমন রাইস-র লোভে TTDC তেই যাবো। 

মোকামবিগাই-যে ভ্যানিলার সাথে পরিচয়, কেউ কারোর ভাষা বুঝি না, চোখের ইশারা আর হেসে কাজ চলছে। মোকামবিগাই-য়ের মালিক রেবতী ম্যামের সাথে গপ্পো করে জানলাম উৎসবটা কিসের। এখানেই তামিলনাড়ুর বিখ্যাত  অমৃত ঘাটেশ্বরার-অভিরামী মন্দির, সংক্ষেপে অভিরামী মন্দির আর সেই মন্দির আজ থেকে তিন দিন ষাট বছর উর্ধো বুড়ো-বুড়িরা বিয়ে করতে এসেছে, সাথে বরযাত্রী, কনেযাত্রী সহ বড়ো-বড়ো বাসে ভর্তি লোকজন তাই এতো ভিড়। শুনে তো হেব্বি লাগলো, সন্ধ্যে থেকে বিয়ের মুহরত, মন্দিরে গেলেই দলে দলে বিয়ে দেখতে পাবো। তখন দুপুর, সন্ধ্যের মধ্যেই শক্তি ম্যামের সাথে দেখা করে আস্তে হবে, বাইকটা ধুতে হবে, লাঞ্চ করতে হবে, পর পর অনেক গুলো কাজ সাজিয়ে বেরোলাম। এই বাইক ধুতেই যেখানে গিয়েছিলাম তারা  টাকাপয়সা তো  নিলেন না, উল্টে তাঁদের পরিবারের সাথে ফোনে যোগাযোগ করিয়ে দিলেন। আগে লিখেছি এই কথা। এখনো যোগাযোগ আছে তাদের সাথে।  আমার আর এক বন্ধু ওদিকে থাকে হটাৎ বাড়ি ফিরতে হলো বলে তার সাথে আর দেখা হলো না। 

শক্তি ম্যামের বাড়ি গিয়ে অভিরামী মন্দির নিয়ে আরো জানতে পারলাম।

তিরুক্কাদাইয়ুর-এই জায়গাটা মন্দির আর সমুদ্রে ঘেরা। আট কিলোমিটারে বন্দর, আগে বড়ো জাহাজ থামতো এখন ছোট-খাটো ডিঙি আর মাছের বাজার। প্রতি রবিবার সকাল ছ’টা থেকে আটটা পর্যন্ত করমণ্ডল উপকূলের মাছের বাজার গুলোতে মাছের নিলাম চলে, সময় করে একবার চাক্ষুস দেখে আসবেন। প্লাস্টিকের যে বাস্কেট গুলো আছে, আরে যে গুলোতে কোল্ড ড্রিংক-র বোতল রাখে, সে রকম বাস্কেটে নেটিং করে যা মাছ উঠবে তা ভরে নিলাম শুরু হয়। পুরো বাস্কেটের দাম মোট্টে দুশো টাকা, ওজনে আটদশবারো কেজি। মানে ওই বাস্কেট থেকে মাছ প্রায় উপচে পড়ছে। এই বাজারে নিলামে দাম বাড়ে না, বাড়ে বাস্কেটের ওজন, তবে শর্ত আছে যা মাছ আছে তাই নিতে হবে, নো বাছাবাছি, রাজি ! 

তিরুক্কাদাইয়ুরের দশ কিলোমিটার রেডিয়াস সার্কলে অভিরামী মন্দির, কালাকালসামে ( যমের মন্দির ), আর আনন্দ মঙ্গলাম অঞ্জনায়ার মন্দির। নাম শুনে বুঝতে পারছেন এটা হনুমানের মন্দির। তাছাড়া দক্ষিণ ভারতের রাজ্য গুলো বিশেষ করে মাপের নিচের দিকের জায়গায় গুলোয় প্রচুর ছোট-খাটো, মাঝারি মন্দির আছে।  অভিরামী মন্দির, শিব-পার্বতীর মন্দির। দ্রাভিদিয়ান ধাঁচের মন্দির। ছোট করে একটু জ্ঞান দিই : ভারতে নানা ধাঁচের মন্দির রয়েছে, তবে মেজর ক্যাটাগরীতে তিন রকম ধরছি : এক:- নাগারা যা উত্তর ভেতরের মন্দির গুলোর ধাঁচ, যুগ যুগ ধরে মারামারি-কাটাকাটির চোটে খুব বেশি অস্তিস্ত্ব নেই এই ধাঁচের।
দুই :- ভেসরা, ভৌগোলিক মাপের  মাঝের বেল্ট-এ এই স্টাইলের মন্দির প্রচুর রয়েছে, লোকেশন ধরলে : মধ্যপ্রদেশের কিছুটা আর কর্ণাটকে। গডগ, বাদামির কাছে আইহোলে, কাট্টাদুকালে যত মন্দির আছে সব ভেসরা স্টাইলে। 
তিন :- দ্রাভিদিয়ান ধাঁচ, যেটা নিয়ে লিখতে শুরু করেছি। তামিলনাড়ু, অন্ধ্র প্রদেশ প্লাস তেলেঙ্গানা, কর্ণাটকের নিচের দিক আর কেরালায় যত মন্দির আছে সব দ্রাভিদিয়ান ধাঁচের। পরে কখনো সুন্দর করে এই তিন ধাঁচের মন্দির নিয়ে সাথে ancient Indian rock cut architecture ও বাকি স্টাইল গুলো নিয়ে লিখবো না হয় !

তো এই অভিরামী মন্দিরে লোকে ষাট বছর হয়ে গেলে বিয়ে করতে আসে। তামিলনাড়ু তো বটেই কর্ণাটক, কেরালা থেকেও লোকে আসেন দ্বিতীয় বার, তৃতীয় বার, বেঁচে থাকলে চতুর্থ বার বিয়ে করতে। বরযাত্রী থেকে শুরু করে বরণ, মালা বদল, সাত বার সদলবলে মানে গুষ্টিসুদ্ধ সবাই মাইল পাক খাওয়া সব হয়। খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা পাশের রেস্তোরাঁয়। এক একটা হোটেলে ৩০ থেকে ৬০ জন থাকে, দল বেঁধে বরযাত্রী, কনেযাত্রীর সকলে ওঠে যে।

অভিরামী মন্দিরের একটা বেশ পৌরাণিক গল্প আছে। এই মন্দির প্রায় পাঁচশো বছর আগের তৈরি। দশম শতকে ( এক হাজার সাল আগে ) আসল মন্দিরটা, নাম গনাপারামেশ্বর তৈরি হয়েছিল যেটা মহাবলীপুরাম থেকে ত্রিশ কিলোমিটার পশ্চিমে এখন ভেঙ্গেচুড়ে গেছে। 'তিরুক্কাদাইয়ুর' অর্থ এখনকার গ্রামের (শহরতলি ) নামের মানে হলো পাত্র ( ঘড়া জাতীয় ) । সমুদ্র মন্থনের সময় যে অমৃত উঠে এসেছিলো তা নিয়েই এই জায়গার গল্পগাঁথা। যে কোনো কাজে সিদ্ধিদাতা গণেশের নাম সবার আগে নেওয়া হয়, কিন্তু অমৃতের ঘড়া হাতে পাওয়ার পর তথাকথিত দেবতারা আনন্দের চোটে  গণেশের নাম নিতে ভুলে যায়।  ব্যাস গণেশ ক্ষেপে গিয়ে অমৃতের ঘড়া চুরি করে এখানেই নিয়ে এসেছিলো তার থেকে এই নাম ঘড়া বা বাটি বা পাত্র । বাংলায় কি সুন্দর ছোটো নামটা, তামিলে সেটা দাড়িয়েছে তিরুক্কাদাইয়ুর। আর এই অমৃতের ঘড়া নিয়ে ঘটনা বলে মন্দিরের নাম হয় অমৃত ঘাটেশ্বরার-অভিরামী । 

অভিরামী নামটা নিয়ে অবশ্য অন্য গল্প আছে। এখানে অভিরামী বলে এক শিবের চরম ভক্ত ছিলেন। যা জানলাম :  তিরুক্কাদাইউর মন্দিরের কাছে, ম্রিকান্দু নামে এক ঋষি ও তাঁর স্ত্রী মরুদমতি বাস করতেন। দুজনেই তারা শিবের ভক্ত এবং সন্তানের কামনায় নিয়মিত শিবের পূজা করতেন। তাঁদের বহু বছর তপস্যার পর শিব সন্তুষ্ট হয়ে দেখা দেন ও বরদানের  option দেন। এক, তাদের একটি বিশেষ গুণবিশিষ্ট পুত্র হবে কিন্তু সে কেবল ষোল বছর পর্যন্ত বাঁচবে। দুই, কম বুদ্ধির এক দীর্ঘায়ু পুত্র হবে। ঋষি দম্পতি নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে প্রথম option টাই বেছে নিয়েছিলেন এবং সেই মতে তাঁদের সন্তান মার্কণ্ডেয় নামে একজন গুণবিশিষ্ট পুত্র জন্মেছিলো।

মার্কণ্ডেয় জন্ম থেকে যথারীতি শিবের ভক্ত। বাবা মায়ের মতো শিবের আরাধনা করেন। যথাসময়ে তার ষোলো বছর পূরণ হলো আর যম দুয়ারে হাজির। মার্কণ্ডেয় যাবে না যমের সাথে, যম দড়ি 
হাতে নিয়ে মার্কণ্ডেয়কে বেঁধে নিয়ে যাবে ঠিক করলো। এই দড়ি নিয়ে যমে-মার্কণ্ডেয়ে টানাটানিতে সোজা তাঁরা মন্দিরে এসে হাজির। আর টুক করে এক ফাঁকে মার্কণ্ডেয় শিবলিঙ্গকে জড়িয়ে ধরে । শিব আবির্ভূত হন এবং যমকে মার্কন্ডেয়কে স্পর্শ না করার জন্য সতর্ক করেন। যম, একটু বাড়াবাড়ি করে মার্কণ্ডেয় ও শিব লিঙ্গকে একসাথে দড়ি দিয়ে বেঁধে ফেলে। এই স্পর্ধা দেখে শিব যমকে ধাক্কা দিয়ে বেশ দূরে ফেলে দেয়। যা এখন কালাকালসামে মানে যমের মন্দির নামে পরিচিত । অভিরামী মন্দির  থেকে ৬ কিমি দূরে। সন্ধ্যা নামার আগে না গেলে কিছু দেখা যাবে না। এখানে যে পুজো করেন তিনি ওই গ্রামের এক মেয়ে। যদি তার সাথে দেখা হয় তো তিনিও এই গল্প বলবেন। আর তারপর থেকে মার্কণ্ডেয় অভিরামী মন্দিরে অভিরামী নাম নিয়ে থেকে  যায়।

মার্কণ্ডেয়ের এমন নিষ্টার জন্য এখানে জনশ্রুতি রয়েছে কিছু।  যেমন : চর্যাপদের দ্বিতীয় পর্যায় গার্হস্থে ঢোকার সময়, পাতি কথায় বিয়ে করে সংসার পাতার সময় এখানে সবাই আশীর্বাদ নিতে আসে with some expectations and demands of course . ষাট বছরটা চর্যাপদে বানপ্রস্থে যাবার সময় মানে আমাদের কথায় retirement . তাই ষাট বছর ওই দম্পতি বেঁচে থাকলে তাদের ছেলে-মেয়েরা আবার বিয়ে দেয় তাঁদের । আগেই বল্লাম, বিয়ের সব রীতিনীতি মেনে বিয়ে হয় কিন্তু মন্ত্র অন্য রকম। এ মন্ত্র বিয়ের নয়, এ মন্ত্র সংসার আস্তে আস্তে ছাড়ার মন্ত্র, দায়-দ্বায়িত্ব পরবর্তী প্রজন্মকে দেবার মন্ত্র, অযথা চিন্তা, লোভ-লালসা, মোহ, আকাঙ্খ্যা ... আরো যা সব আছে সে সব ত্যাগের মন্ত্র। ক্ষমা করার মন্ত্র। স্বত্বিক আহার ভোজনের মন্ত্র।

যদি সেই দম্পতি আরো দশ বছর বেঁচে থাকেন তাহলে ৭০ বছর বয়সে তাদের আবার বিয়ে হবে। 

Videos:





















Comments

Popular posts from this blog

কদম ফুল - Kadam phool- common burflower

বর্ষাকালের সিগনেচার বলা হয় কদম ফুলকে , আরেক নাম নীপ , " এসো নীপ বনে ... " কবিতা তো জানাই আছে যাতে বর্ষা মানেই নীপ ( কদম্ব ও বলে অনেক রাজ্যে ) ।   খুব পরিচিত এই ফুল , নিটোল গোলাকার , প্রথমে সবুজ , পরে লাল থেকে টকটকে কমলা রঙের সাথে অসংখ্য লম্বা সাদা ফ্রিলস পুরো ফুল জুড়ে ।   হাতে নিলে বোঝা যায় বেশ একটু ভারী , মানে কাউকে ঢিল ছুড়ে মারার মতো আর ওই সাদা ফ্রিলস গুলো এমনিতে নরম কিন্তু ছুড়লে হুঁহুঁ , লাগবে বেশ। খুব মিষ্টি একটা গন্ধ আছে , গাছের পাস দিয়ে গেলেই টের পাওয়া যায় ফুল ফুটেছে   ( কদম তলায় কে ?) । প্রচুর ফ্র্যাংগনান্স বা আতর তৈরি হয় এই গন্ধের। আমাদের দেশের লিপিগুলোতে কদম ফুলের ও গাছের নাম আছে আর আমাদের পৌরাণিক কথকথায় কদম ফুলের বড়ো মুখ্য একটা জায়গা আছে।   ভারতের উত্তর দিকে , ভগবৎ পুরান থেকে শুরু রাধা ও কৃষ্ণের দুজনের জীবনেই   কদম ফুল বেশ গুরুত্বপূর্ণ।   বৃন্দাবন - মথুরায় , গোবর্দ্ধন পাহাড়ের দিকে   প্রচুর কদম গাছ , এই সময় মানে বর্ষাক...

My days in the Gunj 2

Since couple of months planning to go in the Gunj but due to some other directions wasn't able to reach there. Finally at the end of year 2023 reached there, stayed in the colonial hut and explored the place on my motorcycle. The Gunj means the McCluskieganj, during mid nineties this hamlet was known as Mini England as it was the place for Anglo-Indians. But now only few family of Anglo-Indians are living here. Yeah, here is scope to stay in the colonial tiles hut as few of the homes are still maintaining the traditional home. I reached on 22nd of December, and had an advanced booking as this time become so crowded due to the holiday and festive season. While I was looking for my stay in Gunj as I used to do getting the contacts from google and calling them. Most of the homestay were not vacant on the dates which I decided to be there, but from the owner of Amyra homestay got a contact of Manojay the care taker Mac Garden and for 2 days he has a room. Here is a story, Mr. Raj Kisho...

My days in the Gunj

এখানে সকাল হয় না, সকাল আসে... কার লেখা, কোন উপন্যাস, অনেকেই জানেন।  গল্পটা এরকম... ডিসেম্বরে হুট্ করে বাইক নিয়ে কোথাও যাওয়া যায় ঠিকই, কিন্তু থাকার জায়গা পেতে চাপ হয়। যেমন এবার হোলো ! ম্যাপ খুঁজে খুঁজে হোমস্টে দেখছি আর ফোন করে যাচ্ছি, ' নাহঃ, ওই সময় ফাঁকা নেই', বেশ কয়েক জায়গা থেকে এক উত্তর পেয়ে ভাবছি কি করবো ! তখনই আমায়রা হোমস্টে-র ওনার রাজ কিশোর গুপ্তা রিং ব্যাক করে 'ম্যাক গার্ডেন-র' হোমস্টে-র কেয়ার টেকার মনজয় দার ফোন নম্বর দিলেন। কল করে জানালাম, পরের দিন যাচ্ছি, একটা ঘরই আমার লাগবে। দু-তিন থাকবো বলাতে বললো, দুদিনই হবে তিন নম্বর দিন অলরেডি বুকড। সাত একর জমির এক কোণে এক কোলোনিয়াল বিল্ডিং, মানে টালির ছাদের কুঁড়েঘর। আম বাগানে ঘেরা, বিরাট এক লন সামনে। গেটের ডানদিকে আলু, সর্ষের খেত। টিয়া, ধূসর রঙের ধনেশ চোখের সামনে নেচে বেড়াচ্ছে। বাড়ির ভেতরে তিনটে পার্টিশন, প্রথম দরজা দিয়ে ঢুকেই বসার জায়গা আর দুই প্রান্তে দুটো ঘর। ওই জায়গা পেরিয়ে পেড়িয়ে আবার আর একটা দরজা ও দুই প্রান্তে ডান দিকে-বাঁদিকে দুটো ঘর। মাঝের বসার জায়গায় একটা ফায়ারপ্লেস। শীতকালে গেলে দিব্বি জ্বালিয়ে রাত কাটানো য...